Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

SSC, WBCS, Railway, Banking, Defence, PSC ইত্যাদি পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য

➤ Join our Telegram Group

রোজ রুটিন, MCQ, নোটস ও এক্সাম আপডেট পেতে গ্রুপে যোগ দিন।

ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করবে | ISRO Space Station 2035 in Bengali

 🌌 ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করবে — জানালেন ইসরো প্রধান



🚀 ভারতের মহাকাশ অভিযানে নতুন অধ্যায়


ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) ঘোষণা করেছে যে, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজের স্পেস স্টেশন তৈরি করবে।

ইসরো প্রধান এস. সোমনাথ জানিয়েছেন, এই স্পেস স্টেশনের প্রথম মডিউল বা অংশটি ২০২৭ সাল থেকেই মহাকাশে পাঠানো হবে।


এটি হবে ভারতের অন্যতম বড় বৈজ্ঞানিক সাফল্য — কারণ এখন পর্যন্ত কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (NASA), রাশিয়া (Roscosmos), এবং চীনের (Tiangong) নিজস্ব স্পেস স্টেশন রয়েছে। ভারতের এই উদ্যোগ বিশ্বে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।



---


🛰️ ভারতীয় স্পেস স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য


1. মহাকাশে দীর্ঘমেয়াদি বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করা।



2. জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা করা।



3. ভারতীয় নভোচারীদের (Astronauts) মহাকাশে দীর্ঘ সময় অবস্থানের সুযোগ দেওয়া।



4. ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গল মিশনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।





---


👩‍🚀 ‘গগনযান’ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্ক


এই স্পেস স্টেশন প্রকল্পের সঙ্গে ‘গগনযান মিশন’ ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।

ইসরো আগামী বছরগুলিতে ভারতীয় নভোচারীদের মহাকাশে পাঠাবে, যা এই বৃহৎ পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গগনযান সফল হলে, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ভারতীয় স্পেস স্টেশন তৈরি আরও সহজ ও নিরাপদ হবে।



---


💡 প্রযুক্তিগত দিক


স্পেস স্টেশনের ওজন হতে পারে প্রায় ২০ টন।


এটি পৃথিবীর চারপাশে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় কক্ষপথে অবস্থান করবে।


প্রত্যেক মডিউলে থাকবে বৈজ্ঞানিক ল্যাব, বসবাসের জায়গা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা।


ভারতীয় রকেট GSLV Mk III (LVM3) এর মাধ্যমে অংশগুলো মহাকাশে পাঠানো হবে।




---


🌏 ভারতের জন্য এর তাৎপর্য


বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।


বিদেশি নির্ভরতা কমবে, এবং ভারত নিজেই মহাকাশ গবেষণার হাব হয়ে উঠবে।


নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের জন্য অসংখ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।


ভারতের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিশ্বে উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।




---


✨ উপসংহার


ভারতের এই পরিকল্পনা শুধু একটি প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নয় — এটি একটি স্বপ্নপূরণের পথচলা।

১৯৬০-এর দশকে যেখানে ভারত প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল এক সাধারণ মাঠ থেকে, সেখানে আজ নিজস্ব স্পেস স্টেশনের স্বপ্ন দেখা সত্যিই এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি।


“একদিন ভারত মহাকাশের শীর্ষে পৌঁছবে” — এই কথাটিই আজ বাস্তব হতে চলেছে। 🚀🇮🇳


Post a Comment

0 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement